
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেশের সিনেমা হলগুলো রক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সিনেমা হলগুলো যদি টিকে থাকে তবে চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পীরা বেঁচে থাকবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে যুক্ত বিভিন্ন অংশিজনদের সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনা এবং বৈশ্বিক সিনেমা বাজারে দখল নেয়া।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের দুঃসময় শেষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ভালো ও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
চলচ্চিত্র শিল্পকে ‘বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মিডিয়া’ হিসাবে অভিহিত করে হাছান তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এই শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।
জনগণ সিনেমা হলগুলোতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার কারণে সারাদেশে অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিনেমা হল রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করা উচিৎ।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে প্রাণবন্ত করার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সিনেমা হল মালিকদের জন্য সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য আমি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
মন্ত্রী বলেন, দেশে সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষা করা দরকার। আর চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষার প্রধান উপাদান হলো সিনেমা হল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদানের পরিমাণ পাঁচ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করেছে এবং অনুদানের জন্য এখন একটি নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী অনুদানের অর্থে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি চলচ্চিত্র নির্মাতার অনুদানের পরিমাণও বাড়িয়ে ৭৫ লাখ করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
সিনেমা হল মালিকদের আশ্বাস দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে তিনি কথা বলবেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, চলচ্চিত্র শিল্প তার অতীত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করবে এবং বাংলা সিনেমা বিশ্বব্যাপী বাজার দখল করবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিএফপিডিএ সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, বিএফডিএ সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বিএফইএ সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এবং বিএফইএর প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস প্রমুখ।
সূত্র : নয়াদিগন্ত/ বাসস ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০