স্বার্থপরের মত শোনাবে। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবু লিখছি। কোভিড-১৯-এ আমরা সংবাদকর্মীরা সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা। বিনয়ের সঙ্গে বলছি- সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা হিসেবে সংবাদকর্মীদের এককালীন ১০ (দশ) হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে দীর্ঘদিন কর্মহীন, করোনাকালে চাকরি হারানো ও বেতন না পাওয়ায় এই তিন অসুবিধায় নিপতিত সাংবাদিকদের এককালীন আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমাদের পূর্বধলা প্রেসক্লাবের কাছে আসে। পূর্বধলার সাংবাদিক বড় ভাইয়েরা কোন মানদন্ডে সাহায্যপ্রার্থী নির্বাচিত করে আবেদন পাঠিয়েছিলেন তা জানতে ইচ্ছে করে? ইতোমধ্যে ৬ (ছয়) জন এই আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। যারা এই সাহায্য পেয়েছেন তাদের কেউ কেউ আবার নিয়মিত সরকারি বেতন ভাতাদিও ভোগ করছেন।
পূর্বধলায় প্রেসক্লাব সদস্য ছাড়াও অন্যান্য সংগঠনের সংবাদকর্মীরা করোনাকালীন সময়ে উপজেলার জনবান্ধব সংবাদ সংগ্রহ, সংবাদ প্রচার, তথ্য দিয়ে জনগণ ও প্রশাসনকে সহযোগীতা করেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে সংবাদ পরিবেশনে অন্যদের অংশগ্রহন যদি থাকে তাহলে কেন বৈষম্য করা হলো? আপনাদের হাতে সুযোগ ছিল বলেই আপনারা যা খুশি তা করতে পারেন? যারা এমন বৈষম্য করেছেন তারা কি আসলে জাতির বিবেক?
হয়তোবা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি পূর্বধলায় যেসকল সংবাদকর্মী করোনাকালীন ত্রাণ সাহায্য পেয়েছেন তারা সংবাদ সংগ্রহ ও জনসচেতনতায় পিছিয়ে ছিলেন অনেকে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যারা করোনাকালীন সহায়তা পেয়েছে তাদের অনেকেই পাওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং হিংসাত্মক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের ডাকে জীবনে কোন কিছু না পেলেও জীবন-মৃত্যুকে পায়ে ঠেলে দায়িত্ব পালনে আমরা এগিয়ে যাবোই।
লেখক : সাংবাদিক
হাবিবুর রহমান