মোঃ মোশাররফ হোসেন, মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার মদনে খেলার ছলে প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে তিন বছরের এক শিশু ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। ভিকটিমের বাবা অভিযুক্ত পরিবারের কাছে বিচার প্রার্থী হলে তাকেও তারা মারপিট করে এমন অভিযোগও রয়েছে। মঙ্গলবার পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর ৭নং ওয়ার্ডে আদর্শ কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কিশোর আসাদুল জাহাঙ্গীরপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র ও একই ওয়ার্ডের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের ছেলে। তবে অভিযুক্ত কিশোর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভিকটিমের বাবা জানান, আমার শিশু মেয়েটিকে রফিকুলের ছেলে কলেজের পেছনে খেলার কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরে শিশুটি অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে অন্য শিশুদের ডাক চিৎকারে তাকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসি। শিশুটিকে নেত্রকোণায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বলেছেন। আমি এ কথা রফিকুলকে জানাতে গেলে সে ও তার ছেলে মিলে আমাকে মারপিট করেছে। আমি থানায় যাচ্ছি। মামলা করব,এর সুষ্টু বিচার চাই।
অভিযুক্ত কিশোর আসাদুল বলে, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে তারা ফাঁসাচ্ছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুর্বনা ইয়াসমিন বলেন, শিশুটির মায়ের নিকট থেকে হিস্টরি শোনেছি। আলামত যেন নষ্ট না হয় তাই শিশুটিকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।
ওসি ফেরদৌস আলম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ভিকটিম ও অভিযুক্তের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি। শিশুটির মা ও বাবা থানায় এসেছে অভিযোগ দিতে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।