নেত্রকোনার পূর্বধলায় পারিবারিক কলহের জেরে টপি আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী কুদরত (৩৫)’র বিরুদ্ধে। উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের জামুদ গ্রামে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত কুদরতকে আটক করেছে পুলিশ। সে উক্ত গ্রামের মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে। তাদের ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
নিহত টপি উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নে মেঘাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের মেয়ে।
নিহত টপির বড় ভাই কাজল মিয়া জানান, টপি আক্তার ও কুদরত আলীর বিয়ে হয় প্রায় নয় বছর পূর্বে। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়শই টপিকে মারধর করতো কুদরত আলী।
পরে টপির পরিবারের পক্ষ থেকে কুদরত আলীকে কয়েক দফায় প্রায় চার লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। তারপর আবারও প্রায় দেড় মাস পূর্বে টপির কাছে আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক চায় সে। এ টাকা না দেয়ার কারণেই শনিবার রাত ৮টার দিকে কুদরত আলী চুলের মুঠি ধরে ঘরের পিলারের সঙ্গে মাথাকে জোড়ে ঠেসে দিয়ে ও কানের কাছে থাপ্পর দিয়ে টপিকে মেরে ফেলে। টপির মরদেহে এসব আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান কাজল মিয়া।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে কুদরতকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।