মোঃ মোশাররফ হোসেন, মদন প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা জেলা মদন উপজেলা তিয়শ্রী ইউনিয়নে দৌলতপুর গ্রামের সুমি আক্তার বকুল (৩০), নামের এক অন্তঃস্বত্ত্বা নারীকে মারপিট এর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সুমি আক্তারের বড় ভাই আমিন খান বিজিবি সদস্য ওয়াসিম মিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে শনিবার (১২ই মার্চ) মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ওয়াসিম মিয়া একই উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের কাতলা গ্রামের তাহের বেপারীর ছেলে সে বান্দরবন জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তে কর্মরত আছেন। ওয়াসিম মিয়া দৌলতপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত ফারুক খানের মেয়ের জামাই। সরকারি ছুটি পেয়ে শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেশী মনু খানের মেয়ে সুমির সাথে তর্কবিতর্ক হয়। ওয়াসিম ও তার শ্যালক তারিন খান এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্য ওয়াসিম মিয়াসহ তারা কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা সুমি আক্তারকে মারপিট করে। এতে সুমি আক্তার আহত হলে স্থানীয় লোকজন রাতে তাহাকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। আহত সুমি আক্তার বকুল জানায় ওয়াসিম প্রায় সময়ে শশুর বাড়িতে আসলে আমাদের হুমকি দমকি দেয়। এবার ছুটিতে বেড়াতে এসে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালমন্দ শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে মারপিট করে আমি ৬ মাসে অন্তঃস্বত্ত্বা। মারপিট করার পর থেকেই আমার পেটে ব্যাথা অনুভব করছি। আমি এর ন্যায় বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত ওয়াসিম মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানায় আমি সরকারি চাকরি করি। ছুটিতে শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেশীদের সাথে আমার শ্যালকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা আমি জড়িত না। আমার শশুর বাড়ির প্রতিবেশীরা আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, হুমায়ূন কবির জানান মারপিটে আহত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুমি আক্তার বকুল নামে এক অন্তঃস্বত্ত্বা নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। রোগীর অবস্থা ভালো।
মদন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান এই ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।