পূর্বধলা নেত্রকোনা প্রতিনিধি ঃ নেত্রকোনার পূর্বধলায় শিশু আব্দুল্লাহ্ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) পুলিশ সুপারের কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৫ টায় এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠাননে ব্রিফ দেন পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ।
ব্রিফিংয়ে জানা যায়, শিশু আব্দুল্লাহ হত্যার ঘটনায় বুধবার দুপুরে জিঙ্গাসাবাদের জন্য বাবুল বেপারী (৫০) কে আটক করে থানা পুলিশ। বাবুল বেপারী উপজেলার ছোছাউড়া গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে।
জিঙ্গাসাবাদে বাবুল বেপারী শিশু হত্যার দোষ স্বীকার করে বর্ণানা দেন বাড়ি পাশে খেলা করার সময় বাবুল আব্দুল্লাহকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বাবুল বেপারী ঘরের ভিতরে কাপড়ের টুকরো দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে শিশু আব্দুল্লাহ্কে হত্যা করে।
গত এক বছর আগে নিহতের পিতা জামাল মিয়া ঘটকালি করে তার প্রতিবেশি বাবুল বেপারীর মেয়ে মনি আক্তারের সাথে তারই চাচাত শ্যালক উপজেলার ভিতরগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে সুমন মিয়ার বিয়ে দেন।
বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতিতের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলেআসছিল। এরইমধ্যে গত মাস দেড়েক আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এ নিয়ে প্রতিবেশেী বাবুল বেপারী জামাল মিয়াকে প্রায়ই গালমন্দ করতেন ও দেখে নেওয়ার হুমকী দিতেন।
উল্লেখ্য উপজেলার ছোছাউড়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে আব্দুলাহ্(৬)’র রক্তমাখা মরদেহ গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পৃর্বধলা- দেওটুকোন সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টার দিকে বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় আব্দুল্লাহ।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জিঙ্গাসাবাদের জন্য বাবুল বেপারীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল বেপারী শিশু হত্যার দোষ স্বীকার করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।