নেত্রকোনার পূর্বধলায় শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও একিয়ারকান্দা রেলক্রসিংয়ের উভয়পাশের সড়কটি দ্রæত সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) সকালে একিয়ারকান্দা এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে ক্ষেতমজুর সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, পূর্বধলা সরকারি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ আলী জুয়েল, স্থানীয় কাজিম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মো ফারুক, সোহেল, হেলাল, আলেক মিয়া, আ. রহমান, আজিজুল হক, হাসিম, কাইয়ুম, কাছম আলী, রুক্কু মিয়া, হারেছ, সিদ্দিক, শিক্ষার্থী রনি, শফিক, শান্ত, জুয়েল, লিটন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়ক একটি মৃত্যু ফাঁদ। গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে ফাজিলপুর নামক স্থানে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ফরিদ-উজ্জামান রিফাতের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এই সড়কটিতে প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। নারী-পুরুষ, যুবক, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারাচ্ছেন এবং কেউ কেউ গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নজন নিয়মিত লেখালেখি করছেন। অপরদিকে একিয়ারকান্দা রেলক্রসিং এলাকাটি ইতিমধ্যে ভয়ংকর স্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়েছে। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত বালুবাহী ট্রাক চলাচল করে। যার কারণে রেলক্রসিংয়ের উভয় পাশে ইট ও খুয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। কখনো কখনো ট্রেন থামিয়ে যানবাহন পার করার দৃশ্যও দেখা গেছে। এছাড়া এ সড়কটিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। হতাহত বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও নীতি নির্ধারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।