শ্যামগঞ্জ-জারিয়া-বিরিশিরি আঞ্চলিক সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক সমাজ। রবিবার (২৫ জুন) দুপুরে পূর্বধলা চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে, প্রতীকি লাশ হয়ে এ কর্মসূচি পালন করে।
৯ দফা দাবিগুলো হলো- মহাসড়কে ডিভাইডার স্থাপন, ওভারলোডিং স্কেল চালুকরণ, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ করা, থ্রী হুইলার নিষিদ্ধকরণ, নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর পুলিশ বক্স স্থাপন করা ও সার্বক্ষণিক তদারকি করা, সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত বালুবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধকরণ, ভেজা বালুবাহির ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধকরণ, বালুবাহির ট্রাকে ত্রিপাল ব্যবহার নিশ্চিত করা ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ শিবলী সাদিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ প্রিন্স, পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রভাষক আবু হানিফ তালুকদার রাসেল, সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম আঙ্গুর প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত বাকৃবি শিক্ষার্থী রিফাতের ভাই আরিফুজ্জামান আরিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বদরুল আলম ঝুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির মাসুদ খান ফাহিম, স্বপন চন্দ্র সরকার, পূর্বধলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় খান নাঈম, সাধারণ সম্পাদক ইশরাক আহমেদ তাইফ, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাজু আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান কবির পাপ্পু, সচেতন নাগরিক সমাজের রাজিবুল ইসলাম রাজিব, শামীম হোসেন মীর, পিয়াস মীর, আব্দুল্লাহ আল ইমরান, নূর আলম নাহিদ, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
গত ১৫ জুন সিএনজিযোগে বাড়ি ফেরার পথে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী ফরিদুজ্জামান রিফাত নিহত হয়।